রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কালিগঞ্জের যমুনা পাড়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদ গুজবের অবসান হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় দুদলী নতুন হাটখোলা চত্ত্বরে কালিগঞ্জ বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মনিরুল ইসলাম মনি’র সভাপতিত্বে ভুমিহীন সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের অংশগ্রহনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল, কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার নরিম আলী মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল মুখার্জী, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম, মথুরেশপুর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, মৌতলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম বাটুল, ভুমিহীন ফতেমা খাতুন, মহব্বত আলী, সাবেক শিক্ষক রফিকুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন দঃ শ্রীপুর চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ হাবিব ফেরদৌস শিমুলসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সুধী। বক্তাগন বলেন যমুনা পাড়ে বসবাসরত ভুমিহীনদের উচ্ছেদ বিষয়টি ছিল নিছক গুজব। মূলত সাতক্ষীরা জেলা নদীরক্ষা, জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় শ্যামনগর যাওয়ার পথে পিরোজপুরে যমুনা পাড়ে পরিদর্শন করেন এবং যমুনা পুনঃ খনন এর বিষয়ে উদ্ব্যোগ গ্রহনের কথা বলেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ভুমিহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে পুনঃ খনন করার দাবীতে সংশ্লীষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার দৃড় প্রত্যায় ব্যাক্ত করেন। অথচ এই ঘটনাটি ভীন্নখাতে প্রবাহিত করতে কতিপয় দুস্কৃতকারী একটি বিরোধকে আড়াল করতে সরলমনা ভুমিহীনদের ভূল বুঝিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার করে মিছিল বা সমাবেশ করাইতে বাধ্য করে। ইতিমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ভুমিহীনদের পুনর্বাসনের অংশ হিসাবে ১০ টি পরিবারে ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৩ টি ঘর নির্মান করা সম্পন্ন হয়েছে।
এসময় সমস্ত ভুমিহীনরা স্বীকার করেন যে চেয়ারম্যান সাহেব ভুমিহীনদের পুনর্বাসনেরর জন্য আবেদন করতে আইডি কার্ড এবং ইউনিয় পরিষদ থেকে গৃহায়ণ ফরম ক এবং খ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করতে। বিষয়টি মৌতলা, কুশুলিয়া ও মথুরেশপুর ইউপির চেয়ারম্যানগন সত্যতা নিশ্চিত করেন। ইউএনও মহোদয় বক্তব্যে বলেন উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান সাহেব ইতিমধ্যে গত অক্টোবরে ভুমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য প্রস্তাব করিরে সেটি উপজেলা পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন করা হয়। তিনি তো ইতিমধ্যে আব্দুস সামাদ, বিধবা শাহিদা খাতুন, জহুরুল আলম, আয়ুব আলী আঃ হামিদ,মৃত আবু তালেবের স্ত্রী, মাছুম জহুরুলদের নামে ঘর নির্মানের তালিকা করেছেন। এছাড়াও পরস্পর আরও তালিকা করা হবে। কাওকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য আমাদের নেই। তাদের কল্যানে আমরা কাজ করছি।
এদিকে শনিবার বিকালে আলোচনা সভায় উপস্থিত ভুমিহীনরা সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে জানাগেছে, ভুমিহীন রহিমা আহত হওয়ার বিষয়টি মূলত ভিন্ন একটি বিরোধের বিষয়। উপজেলা চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে নিছক গুজব ছড়ানো হয়েছিল এটি প্রতিয়মান হয়।
Leave a Reply